রাজশাহী প্রতিনিধি:চাকরি দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় বাঘা উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ও সাবেক উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
সোমবার ১০মার্চ,রাজশাহী চীফ জুডিশিয়াল আদালতের অতিরিক্ত বিজ্ঞ ম্যাজিষ্টেট সাইফুল ইসলাম দুপুরে তার জামিন না নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বাদি নিলুফা ইয়াসমিন পক্ষের আইনজীবী মো: আজিজুল আলম।
মামলা সূত্রে জানা যায় ২০২১ সালে বাঘা উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভানেত্রী ও সাবেক বাঘা উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান ফাতেমা খাতুন লতা একই উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের শাজাহান আলীর মেয়ে নিলুফা ইয়াসমিন নিলুকে চাকরি দেওয়ার নাম করে একটি ষ্ট্যাম্পের মাধ্যমে ২০ লক্ষ টাকা গ্রহন করেন। পরবর্তীতে চাকরি দিতে না পারায় টাকা ফেরত চান নিলুফা ইসাসমিন নিলু। ফাতেমা খাতুন লতা নিলুফা ইয়াসমিনকে একটি সোনালী ব্যাংক বাঘা শাখার অনুকুলে একটি চেক প্রদান করেন। ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে তার হিসাব নম্বরে কোন টাকা না থাকায় নিলুফা ইয়াসমিন নিলু বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
নিলুফা ইয়াসমিন জানান, আমাকে যে চেকটি ফাতেম খাতুন লতা প্রদান করেছেন সেটি তার নামায়ী (আশার আলো) সংস্থা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে এই হিসাবটি সিল-সহ যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়ে আসছে। কিন্ত তিনি যৌথ স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার না করে একক স্বক্ষরে আমাকে চেকটি প্রদান করেন। এ বিষয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আমাকে লিখিত দিয়েছেন। নিরুপায় হয়ে আমি তার নামে মামলা করেছি।
ফাতেমা খাতুন লতার আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিষ্টেট জনাব সাইফুল ইসলাম তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। ফাতেমা খাতুন বাঘা পৌরসভার নারায়নপুর গ্রামের বাসিন্দা ও উপজেলা মহিলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ।
নিলুফা ইয়াসমিন নিলুর আইনজীবী মো: আজিজুল আলম জানান,ফাতেমা খাতুন লতার নামে উচ্চ আদালতে ২৫ লাখ ও নিম্ম আদালতে আরো ১৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতির দুটি মামলা রয়েছে। তিনি তার নামীয় (আশার আলো) ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নামে নিকটতম আত্মীয়র কাছে চেক দিয়ে টাকা ধার-সহ চাকরি দেয়ার নামে এ সমস্ত টাকা লেনদেন করেছেন বলে তাঁর কাছে তথ্য প্রমান রয়েছে।