বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজে ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বাঘা সরকারি কলেজের ২০২৫ সালের চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি ইতোমধ্যেই শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক ফর্ম পূরণের সময় প্রদান করা হয়েছে। এরপরও কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রতিটি ব্যবহারিক বিষয়ের জন্য অতিরিক্ত ১৫০ টাকা করে নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এই অর্থ নেওয়া হয়েছে।
কলেজ ছাত্রদল নেতা মুরসালিন ইসলাম মিশন শিক্ষার্থীদের পক্ষে অভিযোগ করে বলেন, প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষার জন্য প্রতিটি খাতার আলাদা আলাদাভাবে বাড়তি টাকা আদায় সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অবৈধ। দ্রুত অতিরিক্ত নেওয়া টাকা ফেরত দেওয়া এবং ভবিষ্যতে যেন আর এ ধরনের অর্থ আদায় না করা হয় সে বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
আরও বলেন,আমাদের শাহদৌলা সরকারি কলেজের ৩৮৩ জন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ব্যবহারিক খাতার অতিরিক্ত খরচ মওকুফ করতে পেরেছি আমরা। প্রতিজনের ক্ষেত্রে ৩৫০ থেকে ৮৫০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হলেও সর্বমোট প্রায় ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মওকুফ হলো।
আমরা শিক্ষার্থীরা আশা করছি সরকারি কলেজে এ ধরনের অনিয়ম বন্ধে কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা নেবে এবং ভবিষ্যতে আর যেন কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অন্যায়ভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায় না করা হয় তা নিশ্চিত করবেন।
এ বিষয়ে বাঘা শাহ্দৌলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি মোবাইলে কোন বক্তব্য দিতে চাই না আপনি আমার অফিসে আসবেন আমি আপ্যায়ন করব, আমি মোবাইলে কোন কিছু জানাতে আগ্রহী নই।
ছাত্রদল নেতা মুরসালিন ইসলাম মিশনের প্রচেষ্টায় এ টাকা মওকুফ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অতিরিক্ত ব্যয় থেকে মুক্তি পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।