বাঘায় বাস চাপায় বাবা নিহত ও মা-মেয়ে আহাত

0
178
বাঘায় বাস চাপায় বাবা নিহত ও মা-মেয়ে আহাত।

বাঘা(রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহী বাঘা উপজেলার পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ড বানিয়াপাড়াতে ঈশ্বর্দী-বাঘা পাকা রাস্তাতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা শান্ত ইসলাম চিকিৎসা অবস্থাই ইন্তেকাল করেন ও মেয়ের হাটু থেকে পা পর্যন্ত কাটা পরে। 

সোমবার(১৯মে)  আনুমানিক সকাল ৮:৩০ টার দিকে বাঘা ঢাকা গামী সুপার সনি কোচ বাসের সঙ্গে এক মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে পা হারা বাবা আইসিইউতে চিকিৎসা অবস্থায় ইন্তেকাল করেন, মেয়ে একটি পা হারেলেন, আহত হয়েছেন মেয়ের মা।

বাঘা ইশ্বরদী ঢাকা গামী সুপারসনি বাসের সঙ্গে বিপদের দিক থেকে আসা বাঘা অভিমুখে মোটরসাইকেল আরোহি ১টি পরিবারে সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল যোগে স্বামী-স্ত্রী ও শিশু কন্যা উম্মে সুরাইয়া বাঘা সদরে গ্রীণ হ্যাভেন স্কুলে আসছিলো।

বেপরোয়া বাসের কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা ও শিশু মেয়ে ২জনেরই ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়।  ঘটনাস্থলেই বাবা মোঃ শান্ত ইসলাম ও মেয়ে উম্মে সুরাইয়া(৫) উভয়ের ডান পা  বিচ্ছিন্ন হয়ে ছিটকে পড়ে। স্থানীয় লোকজন বাসটিকে  আটক করে এবং আহত বাবা মা এবং শিশু মেয়েকে উপজেলা  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্রুত নিয়ে যায়।আহত বাবা-শিশু মেয়েসহ বিছিন্ন পা ২টি উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়। তবে বাবা চিকিৎসা অবস্থায় ইন্তেকাল করেন,মেয়ে পা হারালেও একই মোটরসাইকেল মোসাঃ জেসমিন(২৫) অন্তঃসত্ত্বা  শারিরীক ভাবে ক্ষতির পরিমান হলকা বলে জানা যায়। করেন বলে তথ্য পাওয়া যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পার্শ্ববর্তী লালপুর উপজেলায় আটটিকা-জামতলা এলাকার এজাহার আলীর ছেলে সেনাবাহিনী সদস্য  মোঃ শান্ত ইসলাম(৩৩) মেয়ে উম্মে সুরাইয়া (৫) এবং শান্তর স্ত্রী মোসাঃ জেসমিন সহ একই মোটরসাইক যোগে বাঘা পৌরসভার সংলগ্ন গ্রীণ হ্যাভেন স্কুলে আসছিলো।

বাঘা হতে ঢাকা গামী সুপার সনি বাসটি দ্রুতগামী ছুটে চলায় এ দুর্ঘটনার সংঘটিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাই যে, মোটরসাইকেল আরোহীর কোন দোষ নেই। কিন্তু সনি বাসটি বাঘা বাজারে রাস্তার কাজ চলমান থাকায় যানজটের কারণে দীর্ঘ সময় আটকিয়ে ছিলো। নির্ধারিত সময় অতিক্রম হওয়াতে দ্রুতগামী বেপরোয়া হয়ে চালানোর জন্যই এই দুর্ঘটন ঘটেছে।ঢাকা গামী সুপার সনি বাসের আঘাতে মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুষড়ে ভেঙ্গে  যায়।

পরে বাঘা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে  বাসটিকে ও ভাঙ্গা মোটরসাইকেল টি ভ্যানযোগে থানায় নিয়ে আসে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here